মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ির সামনে ‘বোমা সদৃশ’ বস্তু ও একটি হুমকি চিরকুট উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক, আর পুলিশ বলছে—ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
সোমবার (২ জুন) সকালে গাংনী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ (Abdur Rashid) নিজেই তার বাড়ির প্রবেশপথে সন্দেহজনক একটি বস্তু দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুলিশকে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সেই বস্তুটি উদ্ধার করে।
তবে শুধু বস্তুই নয়, সেখানে পাওয়া গেছে একটি হুমকি চিরকুটও। তাতে লেখা ছিল—
‘রশিদ তোরে বলেছিলাম তোর ছেলে স্কুলে যেন না যায়? তোর ছেলে বাহির হলে… এখন রেখে গেলাম, এরপর উড়িয়ে দেবো?’
এই হুমকির ভাষা ছিল স্পষ্ট এবং ভয়ানক, যার লক্ষ্য ছিল রশিদের সন্তান। চিরকুটটির বর্ণনা শুনে অনেকেই বুঝতে পারছেন, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি ভয়ভীতি প্রদর্শনের অংশ।
আব্দুর রশিদ মেহেরপুরের বাদিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি দাবি করেছেন, একটি সন্ত্রাসী চক্র বেশ কিছুদিন ধরেই তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। সেই চাঁদা না দেওয়ায় হয়তো এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, “এটা আমার পরিবারকে আতঙ্কিত করার সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।”
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল (OC Bani Israil) গণমাধ্যমকে জানান,
“বামুন্দী ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বোমা সদৃশ বস্তু ও চিরকুট উদ্ধার করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
এদিকে এলাকার মানুষজন এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি শুধু রশিদ নয়—সমগ্র এলাকাকে আতঙ্কিত করার জন্যই এমন কাজ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত বস্তুটি পরীক্ষা ও চিরকুটের উৎস খুঁজে বের করাই প্রধান কাজ।
স্থানীয় রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জটিলতার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।