মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নে যুবদল নেতা মো. মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি নালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিলেন। পুলিশের দাবি, মিন্টু ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত একটি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং একটি ভিডিও ফুটেজে তাকে শনাক্ত করার পরই গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ডিবির ওসি আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, “সেই ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে আমরা মিন্টুকে চিহ্নিত করি এবং গ্রেপ্তার করি।”
তবে এ অভিযোগ মানতে রাজি নয় স্থানীয় বিএনপি (BNP) এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই গ্রেপ্তার ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ এবং রাজনৈতিক হয়রানির অংশ।
নালী ইউনিয়ন যুবদল-এর সভাপতি মো. ফারুক মিয়া জানান, “মিন্টু আমাদের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার স্বাক্ষরিত কমিটিতে তার নাম রয়েছে। তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী বানিয়ে গ্রেপ্তার করাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন বলেন, “মিন্টু আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তিনি। ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতার জেরেই হয়তো এই গ্রেপ্তার।”
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দীপু এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে তা হয়েছিল ১৮ জুলাই। অথচ এখন ৪ আগস্ট বলে সাজানো হচ্ছে। আমি নিজে সেদিনের কর্মসূচিতে ছিলাম। মিন্টুর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একটি সাজানো কাহিনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার কর্মীকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ (Awami League)-এর স্থানীয় নেতারা কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এ ঘটনায় ঘিওর উপজেলা জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।