বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা শাখার ভূমিকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam)। তাঁর ভাষায়, র্যাব ওইসব ঘটনায় “একটি হত্যাকারী বাহিনী হিসেবে” কাজ করেছে।
বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠিত দ্বিতীয় অন্তর্বর্তীকালীন (ইন্টারিম) প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, কমিশন এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৩৫০টি গুমের ঘটনা শনাক্ত করেছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিদিনই নতুন নতুন গুমের তথ্য উঠে আসছে। আমাদের তদন্ত থেমে নেই।”
প্রতিবেদনটি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে কী রয়েছে তা উল্লেখ করে শফিকুল বলেন, এতে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে কীভাবে বিভিন্ন সময়ে নাগরিকদের গুম করা হয়েছে, এবং কতজনকে হত্যা করা হয়েছে—বিশেষত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে।
তিনি আরও বলেন, “কমিশন গুমের ১ হাজার ৩৫০টি মামলার ওপর পর্যালোচনা করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগত নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড।”
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদও উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রতিবেদন নতুন করে প্রশ্ন তুলছে নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকা, গুমের সংস্কৃতি এবং বিচারহীনতার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে।