রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ (Nikunja-2) এলাকার জামতলার নিজ বাসা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে আবুল খায়ের ওরফে ‘পিলার খায়ের’কে আটক করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ (Khilkhet Police)। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের (Awami League) খিলক্ষেত থানা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে আবুল খায়ের নিজ বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল রাত ১১টা থেকেই তার বাসার আশেপাশে অবস্থান নেয়। প্রথমে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হলেও, শেষ পর্যন্ত রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার ভিত্তিতেই তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরও কোনো মামলা রয়েছে কিনা, সে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।”
তবে ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংঘঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে, যদিও পুলিশ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী তার গ্রেপ্তার নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। কেউ প্রকাশ্যে কথা বলছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, তার রাজনৈতিক অতীত ও বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় ও অস্বস্তি রয়েছে।
আটক হওয়া আবুল খায়ের দীর্ঘদিন ধরে ‘পিলার খায়ের’ নামে এলাকায় পরিচিত। এক সময় তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাজনৈতিকভাবে তেমন সক্রিয় ছিলেন না বলেও অনেকে দাবি করছেন।
এই গ্রেপ্তার শুধু ব্যক্তিগত নয়, রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন রাজধানীর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের এক সাবেক নেতার এমন গ্রেপ্তার নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।