রাজধানীর উত্তরা (Uttara) এলাকায় শনিবার সকালে একটি ভয়াবহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নগদ-এর বিতরণ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি অর্থ ছিনিয়ে নিয়েছে একটি চক্র, যারা নিজেদের র্যাব (RAB) পরিচয়ে পরিচয় দিয়েছিল।
সকালে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কালেকশন শেষে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলেন নগদ-এর প্রতিনিধি দল। ঠিক তখনই একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে আসা দুর্বৃত্তরা নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের পথরোধ করে।
ভুক্তভোগীদের গাড়িতে তুলে নেয় ছিনতাইকারীরা, এবং তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ভর্তি ব্যাগটি নিয়ে যায়। পরে টাকা ভর্তি ব্যাগ রেখে ভুক্তভোগীদের ফেলে যাওয়া হয় উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে।
সুনির্দিষ্টভাবে ছিনতাই হওয়া টাকার অঙ্ক এখনও জানা না গেলেও, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি কোটি টাকার বেশি। নগদ-এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও একে বড় অঙ্কের অর্থ বলেই উল্লেখ করেছে।
ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ‘বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা জানতে গোয়েন্দা ইউনিটও ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
নগদ-এর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি দল নিয়মিত ব্যাংকে কালেকশন জমা দেয়। এটা প্রতিদিনের একটা প্রক্রিয়া। কিন্তু এমন একটি ছিনতাই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।’
ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, যদি কেউ র্যাব পরিচয়ে এভাবে ছিনতাই করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে জোরালো পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।