নারী নেতৃত্বকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার দলের দপ্তর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদের কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে একটি ফাঁস হওয়া অডিও কলকে কেন্দ্র করে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন (Dr. Tajnuva Zabeen)–এর বিরুদ্ধে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও ‘পতিত ফ্যাসিবাদী দলের’ নেতাকর্মীরা কুরুচিপূর্ণ, যৌন হয়রানিমূলক এবং মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এনসিপি জানিয়েছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, বরং পূর্ববর্তী সময়েও নারী নেত্রীদের টার্গেট করে একই ধরনের হামলার শিকার হতে হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “এই ধরনের অপপ্রচার কেবল নারীকে লাঞ্ছিত করার ইঙ্গিত নয়, বরং এটি তাদের রাজনৈতিক সক্ষমতা ও কর্তাসত্তাকে অস্বীকার করার চক্রান্ত।” এনসিপির দাবি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের পুনরায় সক্রিয় উপস্থিতি ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর পর নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই পুনর্জাগরণকে ঠেকাতেই নানা মহল থেকে নারীদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।
এনসিপি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, এমনকি ফ্যাসিবাদ-বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করা কিছু রাজনৈতিক শক্তির সদস্যরাও এই কুৎসা প্রচারণায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। এতে রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিবৃতিতে এনসিপি দাবি করে, গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের দল রাজনৈতিক অঙ্গনে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। আর সে কারণেই “পুরনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সমর্থকরা” এ নারী নেতৃত্বকে দমন করার চেষ্টায় লিপ্ত।
এনসিপি এই কুরুচিপূর্ণ ও যৌন হয়রানিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানায়, যদি এই ধরনের অপপ্রচার বন্ধ না হয়, তবে দল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ সম্ভাব্য সব উপায়ে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।