রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম (Shamsul Alam)-কে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিএমপির (DMP) গোয়েন্দা শাখা ডিবি (DB)। যদিও কী অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে এবং আজই তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
বর্তমানে ড. শামসুল আলমকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। এই গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ, তিনি কেবল একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রীই নন, বরং দেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০২১ সালের জুলাই মাসে টেকনোক্রেট কোটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ড. শামসুল আলম। এর আগে তিনি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য এবং সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, বিশেষ করে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার অবদান ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh Agricultural University) অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ২০০৯ সালের ১ জুলাই থেকে পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার পর, টানা ১২ বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
এই বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদের আকস্মিক গ্রেফতার নিয়ে ইতোমধ্যে নানান প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে এর পেছনে সম্ভাব্য কারণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনাও শুরু হয়েছে। ডিবি কর্তৃপক্ষ মামলা সম্পর্কিত বিস্তারিত না জানালেও, মামলাটি যে কোন সাধারণ প্রশাসনিক নয়, তা ধারণা করা হচ্ছে।
ড. শামসুল আলমের মতো একজন নীতিনির্ধারককে এইভাবে গ্রেফতার করা দেশের বর্তমান প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।