জাতীয় নাগরিক পার্টি (Jatiya Nagorik Party)–র নেতা তুষার সারোয়ারের সঙ্গে কথোপকথন ফাঁসের পর আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসা নিলা ইসরাফিল (Nila Israfill) এবার নতুন অভিযোগ তুলেছেন এবি পার্টি (AB Party)-র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে। রোববার (২২ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ব্যারিস্টার ফুয়াদকে ‘ন্যায়ের পাশে নয়, বরং ক্ষমতার পাশে দাঁড়ানোর’ অভিযোগে skআসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
নিলা লিখেছেন, “একজন ব্যারিস্টার যখন আইনের চেয়েও বড় হয়ে ওঠেন, তখন ন্যায়বিচার হুমকির মুখে পড়ে।” তার দাবি, ব্যারিস্টার ফুয়াদ আজ “সত্য”র মুখোশ পরে একজন নিপীড়িত নারীর লড়াইকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তিনি আরও বলেন, “একজন নারী যখন সাহস করে মুখ খুলে, তখন সমাজ তাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু যখন একজন ব্যারিস্টার সেই প্রশ্নের অংশ হয়ে ওঠেন, তখন বুঝে নিতে হয় — আইনের লোকেরাও কখনো কখনো ক্ষমতার পাশে দাঁড়ায়, ন্যায়ের পাশে নয়।”
নারী অধিকারবিষয়ক ভাষ্যে নিলা আরও বলেন, “যিনি আইন জানেন, কিন্তু নারী অধিকার বোঝেন না — তার অবস্থান কাদের পক্ষে, সেটি সময়ই বলে দেবে।”
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিনি ব্যারিস্টার ফুয়াদের কাছে সরাসরি জানতে চান, “ব্যারিস্টার ফুয়াদ কার পক্ষে? একজন অভিযুক্ত পুরুষের, নাকি সেই নারীর – যিনি নিজের সম্মান রক্ষায় একা দাঁড়িয়েছে?”
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, “আপনি বলেছেন আমি নাকি ফোনালাপ বিক্রি করেছি। আপনি যেহেতু গণমাধ্যমে এই কথা বলেছেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার কাছে প্রমাণ আছে। অনুগ্রহ করে সেই প্রমাণটিও প্রকাশ করুন। যদি সত্যিই ন্যায় চান, তাহলে নারীর কণ্ঠকে থামাতে নয়, শুনতে শিখুন।”
তবে পোস্ট দেওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা পর নিলা ইসরাফিল সেটি সরিয়ে নেন। পোস্ট মুছে দেওয়ার কারণ বা পরবর্তীতে আর কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তবে এর মধ্যেই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে নিলার এমন বক্তব্য ও পোস্ট-সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবি পার্টির ভেতরে এবং বাইরের রাজনৈতিক পরিসরে আলোচনা ও বিভক্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে।
