সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা (KM Nurul Huda)–কে গ্রেফতারের সময় ঘটে যাওয়া জনতার সহিংস আচরণ ও শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার (২২ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে সরকার কঠোর বার্তা দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ একটি নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে সাবেক এই সিইসি–কে গ্রেফতার করেছে। তবে গ্রেফতারের মুহূর্তে একদল জনতা যে উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলে এবং নুরুল হুদার ওপর শারীরিকভাবে চড়াও হয়, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এ ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সরকার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। বিচারিক প্রক্রিয়া দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ীই চলবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে।”
এ ছাড়া বিবৃতিতে এমন সহিংস আচরণকে “ফৌজদারি অপরাধ” হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, “যারা ‘মব’ গঠন করে একজন অভিযুক্তের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
সরকার আরও জানিয়েছে, কোনোভাবেই শারীরিক লাঞ্ছনা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের আচরণ আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথকে ক্ষুণ্ন করে।
সবশেষে বিবৃতিতে নাগরিকদের প্রতি সংযত আচরণ এবং সহনশীলতা বজায় রেখে আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানানো হয়। সরকার বলেছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার এই সময়ে সকলের একযোগে দায়িত্বশীল আচরণই কাঙ্ক্ষিত।