সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা (KM Nurul Huda)-র সঙ্গে সাম্প্রতিক যে আচরণ করা হয়েছে, তাকে ‘নিঃসন্দেহে দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির (BNP) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi)। সোমবার (২৩ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
রিজভী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত—আইনের বাইরে কোনো অসৎ আচরণ আমাদের দলের আদর্শ নয়।”
তিনি আরও বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ হচ্ছে একটি অতি স্পর্শকাতর এলাকা, যেখানে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকা উচিত। অথচ সেখানেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। রিজভীর ভাষায়, “সেখানে তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সব সময় থাকে। তাহলে তারা কীভাবে এমন আইনবহির্ভূত ঘটনা ঘটতে দিল? এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।”
ঘটনাটি নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে রিজভী জানান, বিএনপি এমন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তিনি বলেন, “আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন—কোনো ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা বা দখলদারিত্বে যুক্ত হওয়া যাবে না।”
রিজভী দাবি করেন, দলের ভেতরে যদি কেউ এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তবে দল কঠোর পদক্ষেপ নেয়। তার ভাষ্য, “গত কয়েক বছরে এ ধরনের ঘটনায় অন্তত চার-পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—কারও বহিষ্কার, কারও শোকজ, কারও সতর্কীকরণ করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করে বিএনপি শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।”
এসময় তিনি আশ্বাস দেন, সাবেক সিইসির ঘটনায় যারা দোষী, সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়—এটি বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান। সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউস।