এক দশকেরও বেশি সময় পর পুনরায় রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি ফিরে পেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami)। দলটির পুরোনো নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’সহ নিবন্ধন পুনর্বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ (Akhtar Ahmed)-এর সই করা প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে দলটি এখন থেকে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতের গঠনতন্ত্রকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তাদের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই রায়ের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালে ইসি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। তবে চলতি বছরের ১ জুন আপিল বিভাগ পূর্বের রায় বাতিল করে দেয় এবং নির্বাচন কমিশনকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ৪ জুন ঈদের আগে অনুষ্ঠিত এক কমিশন সভায় জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (Abul Fazl Md. Sanaullah) জানিয়েছিলেন, দলটির প্রতীক ফেরতের দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে।
অবশেষে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সেই আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করল, যার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন কার্যত সম্পন্ন হলো। ফলে দলটি এখন আগাম নির্বাচনসহ যে কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত থাকবে।
প্রসঙ্গত, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হাইকোর্টের রায়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবার সেই নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটল। এ অবস্থায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক ও মেরুকরণ দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।