ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেদারল্যান্ডস যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আলোচনায় উঠে আসে ইরান প্রসঙ্গ। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন—তেহরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন তিনি চান না, বরং দ্রুত পরিস্থিতির স্বাভাবিকতা কামনা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ইরানে শাসনব্যবস্থার রদবদল কি তাঁর নীতির অংশ? ট্রাম্প জবাব দেন, “না, আমি এটা চাই না। আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব সবকিছু শান্ত হয়ে আসুক।” তাঁর কথায় স্পষ্ট ছিল, শাসন কাঠামো বদলানো মানেই একধরনের অনিশ্চয়তা ও নৈরাজ্যের দিকে যাওয়া, যা যুক্তরাষ্ট্রের আদর্শিক অবস্থানের সঙ্গে যায় না। তিনি বলেন, “শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন সাধারণত নৈরাজ্য ডেকে আনে, আর আদর্শগতভাবে আমরা সেটা দেখতে চাই না।”
আলোচনার একপর্যায়ে তিনি ইসরাইলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বললেন, “আমি ইসরাইলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো দেখে খুব একটা খুশি না।”
বিশেষ করে যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরাইলের রকেট নিক্ষেপে তাঁর স্পষ্ট আপত্তি। ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হচ্ছে নির্ধারিত সময় শেষ হবার পর একটা রকেট ছোড়া হয়েছে। ইসরাইল মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের শান্ত হওয়া উচিত।”
এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। আরও জানান, “গতকাল আমি এমন অনেক কিছু দেখেছি যা আমার একদমই ভালো লাগেনি। যুদ্ধবিরতির পর আমরা যখন একটা চুক্তিতে পৌঁছালাম, তখনই ইসরাইলের এমন আচরণ আমাকে বিস্মিত করেছে। তাদের ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া উচিত হয়নি।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের কথায় ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট—মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনে তিনি আগ্রহী, কিন্তু সহিংসতার পথে যাওয়া কোনো পক্ষকেই তিনি সমর্থন করতে রাজি নন। বিশেষ করে মিত্র রাষ্ট্র ইসরাইলের দিকেই এবার তাঁর কড়া বার্তা গেল।