ভারত সরাসরি বাংলাদেশের বাজারে ফেনসিডিল পাচারের উদ্দেশ্যে এই মাদক তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Lt. Gen. (Retd.) Jahangir Alam Chowdhury)। পাশাপাশি মিয়ানমারকেও মাদক প্রবেশের প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ভারত ফেনসিডিল তৈরি করে। আর মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি ইয়াবা প্রবেশ করে। এই দুটি দেশই আমাদের মাদক সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে এখনো দুইটি বড় সমস্যা রয়ে গেছে—দুর্নীতি ও মাদক। এ দুটি বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। মাদকের বিস্তার ঠেকাতে শুধু আইন প্রয়োগ নয়, কূটনৈতিক যোগাযোগও চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
তিনি জানান, ভারত ও মিয়ানমার থেকে ফেনসিডিল ও ইয়াবার প্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এবং আলোচনা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তার মন্তব্যে দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণে চলমান সরকারি প্রচেষ্টার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। তবে ভারতের উদ্দেশে এভাবে সরাসরি অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে খুব কমই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন বক্তব্য সরকারিভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে মাদকপাচারের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে। এর আগে, বাংলাদেশে ফেনসিডিল ও ইয়াবার বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও ভারত ও মিয়ানমারকে এত সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়নি।