গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (Rashed Khan) অভিযোগ করেছেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)। বৃহস্পতিবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের সফল গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের করণীয় নিয়ে আয়োজিত এই সভায় রাশেদ খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলেও, তারা পরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। “এর দায় উপদেষ্টা পরিষদের, বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের,” বলেন তিনি। তাঁর মতে, ইউনূস কখনোই ছাত্রদের ক্লাসে ফেরার পরামর্শ দেননি, বরং দল গঠনের পরামর্শ দিয়ে তাদের ‘মাথায় তুলে’ রেখেছেন।
রাশেদ অভিযোগ করেন, ডিসি-এসপিরা সমন্বয়কদের অতিরিক্ত ভক্তি ও তোষামোদের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করেছে। “আমি সব ছাত্রকে বলছি না, যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বলছি। আজ ছাত্ররা ডিসি ও এসপি অফিসে গিয়ে খবরদারি করছে—আমরা গণ-অভ্যুত্থানের পর এটা আশা করিনি,” তিনি যোগ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক প্রত্যাশা থাকলেও উপদেষ্টারা তাঁদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেননি, দেশে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি, দুর্নীতি ও দখলদারি বন্ধ হয়নি। তার অভিযোগ, “প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বন্দোবস্ত বজায় রেখে সরকার চালাচ্ছেন; পুলিশ ও দপ্তরগুলো এখনো আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে।”
এ সময় তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের (Golam Mohammad Kader) গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তাঁর ভাষায়, “আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ, ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসন হতে দেওয়া যাবে না।”
সভায় জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মাদ ফরহাদ মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি মো. রুবেল শেখ, সহ-অর্থ সম্পাদক শেখ জাহিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি হৃদয় আহমেদ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি জুয়েল ভান্ডারী প্রমুখ।