আলোচিত ও সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি (Touhid Afridi) শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল নগরের বাংলাবাজার এলাকায় সিআইডির বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের মুহূর্তে পুলিশের কাছে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে আফ্রিদি বলেন, “আমি পালাব না, কোরআনের কসম। আমি ওমরাহ হজ করছি। আমি শুধু আমার স্ত্রীকে নিয়ে ভয় পাচ্ছি, সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।”
তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নে আফ্রিদি জানান, যেখান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে সেটি ভাড়া বাসা নয়, বরং তার আপন দাদার বাড়ি। তিনি সেখানে এসেছিলেন দাদার কবর জিয়ারত করতে।
সিআইডি জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের করা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলায় তিনি ১১ নম্বর আসামি। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো, মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), ২ নম্বরে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (Obaidul Quader) এবং ৩ নম্বরে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন (Abdullah Al Mamun)।
এর আগে একই মামলায় তৌহিদ আফ্রিদির বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী (Nasir Uddin Sathi) কে গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তিনি ওই মামলার ২২ নম্বর আসামি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাবাজার এলাকার একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রের পাশের বাড়িতে হঠাৎ অভিযান চালায় সিআইডি। তখনই আফ্রিদিকে আটক করা হয়।
সিআইডির গণমাধ্যম শাখার পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দায়ের করা হত্যা মামলায় আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানও নিশ্চিত করেছেন যে, সিআইডির একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
