ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত মশা মারতে কামান ব্যবহারের মতো: আব্দুল কাদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে “মশা মারতে কামান ব্যবহারের মতো” বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের (Abdul Kader)। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা চলছে, অথচ নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পেলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং যারা আচরণবিধি ভাঙছেন, কমিশন তাদেরকেই সহায়তা করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “সেট করা আচরণবিধি ভঙ্গ হলেও কমিশনের নিষ্ক্রিয়তায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থাহীনতা বাড়ছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার চাপে নির্বাচনে মনোযোগী হতে পারছে না। তাই আমরা দাবি করছি—পরীক্ষা বাতিল করে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তা শুরু করা হোক।”

স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালালকে ঘিরে সাম্প্রতিক ঘটনাকে ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

একই সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদারও কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ছাত্রদলের জিএস প্রার্থীও নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, কিন্তু কমিশন তবুও নীরব থেকেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, ব্যানার-বিলবোর্ড এখনো সরানো হয়নি। তার অভিযোগ, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে ছাত্রলীগকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, এবারও একটি পক্ষকে একইভাবে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কমিশন যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তবে আবারও ২০১৯ সালের মতো বিতর্কিত নির্বাচন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *