বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি (Nilufar Chowdhury Moni) বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠনদের মধ্যে যে কাউকে ‘হেলমেট বাহিনী’ বলা হলেও প্রকৃত দোষ ঢাকাঢুঁকে থাকছে, এবং তিনি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ (Abrar Fahad)কে হত্যা করেছে সেই ‘শিবির’ই—অর্থাৎ তিনি ইঙ্গিত করলেন ছাত্রশিবির (Islami Chhatra Shibir)-এর দিকে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি (RTV)-র আয়োজিত টকশোতে অংশ নিয়ে মনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর অনেকে এটাকে ‘এনজিওগ্রাম’ বলা শুরু করেছিলেন—কিন্তু এখন তা রূপান্তরিত হয়ে গেছে ‘আন্তঃজামায়াত অন্তর্বর্তী সরকার’ এ রকম এক পর্যায়ে। “কারণ এই সরকার জামায়াত দ্বারা পরিবেষ্টিত সরকার, সেটাই আমি বলার চেষ্টা করছি,” মনি টকশোতে বলেন।
নিলুফার মনি আরও বলেন, জামায়াতের চাঁদাবাজি ও ছত্রছায়া তাকে তাদের ‘হেলমেট পরিহিত’ বাহিনীর সাথে তুলনা করেন। “আমরা ছাত্রলীগকে আগে হেলমেট বাহিনী বলতাম—কিন্তু আসলে ছাত্রলীগ ওইরকম ছিল না। আসলেই তারা ছিল শিবির; নিজেদের গোপন রেখে এ কাজগুলো করেছে,” তিনি বলেন। মনি টকশোতে আবরারের হত্যাকারীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, “আমি যদি একটা প্রমাণ দেই, আবরার যে মারা গেল—তাকে মেরে ফেললো যারা তাদের আসামিদের উকিল কারা। তিনি হচ্ছেন শিশির মনির। আপনি বুঝেন, আসামিদের উকিল। তাহলে বুঝেন তাকে মারছে কারা।” এখানে তিনি [শিশির মনির] (https://tazakhobor.com/tag/শিশির-মনির) (Shishir Monir)-এর নাম উল্লেখ করেন।
নিলুফার চৌধুরী মনি আরও বলেন, আসামিদের উকিল হওয়া কোনো তুচ্ছ বিষয় না—এটা প্রমাণ করে যে আবরারকে মারছে কে; তার ধারনা, সেটি এই ‘হেলমেট বাহিনী’, অর্থাৎ শিবির বাহিনী। টকশোতে নিলুফার চৌধুরী মনির পাশে ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান (Dr. Muhammad Abdul Mannan)।
এই বক্তব্যগুলোতে রাজনৈতিক তীব্রতা ও অভিযোগের ছোঁয়া আছে—কথোপকথনে ক্ষমতা, সংগঠনের পরিচয় এবং একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দায়-দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও তীব্র করে তুলছে।