“আপনি যদি বলেন, আমরা চলে যাচ্ছি”—বিক্ষোভকারীদের এমন আহ্বানে এক সেনা কর্মকর্তা দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেন, “আমি আমার সৈনিকের জীবন দিয়ে হলেও মন্দির রক্ষা করব। আমার জীবন থাকতে এই মন্দিরে কেউ হাত দিতে পারবে না।” শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খাগড়াছড়িতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে এমন কথা বলেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, “১৪৪ ধারার আন্ডারে তোমাদেরকে এখন এলাকা ফাঁকা করে দিতে হবে। সবাই দেখতেছে, আমি সবার উদ্দেশে বলতেছি।” তার বক্তব্যের পর জনতার ভিড় থেকে ধন্যবাদ দিয়ে “আমরা চলে যাচ্ছি” বলার আওয়াজ শোনা যায়।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার রাতে। অভিযোগ ওঠে, এক মারমা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেই ঘটনার পর থেকেই পার্বত্য খাগড়াছড়ি জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিক্ষোভে মুখর হয় স্থানীয়রা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। একইসঙ্গে গুইমারা উপজেলাতেও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার শনিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
তিনি আরও নিশ্চিত করেন, উত্তেজনা ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্তভাবে ৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।