জামায়াত নেতা আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগে উত্তাল বিক্ষোভ

দোহার-নবাবগঞ্জ নাগরিক সমাজ (Dohar-Nawabganj Civil Society) রোববার বিকেলে রাস্তায় নেমে আসে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবিতে। স্থানীয় সমাজের এই প্রতিবাদ শুধু একক কোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দেশে ঘটে চলা সকল ধর্ষণ মামলায় ন্যায়বিচারের দাবিকেও সামনে এনেছে।

প্রতিবাদ মিছিলটি শুরু হয় নবাবগঞ্জ কোর্ট বিল্ডিং থেকে এবং শেষ হয় শহীদ মিনারে এসে। অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দিতে দিতে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে। তাদের মূল দাবি—জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ সব অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।

এদিকে নবাবগঞ্জের আইডিয়াল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী (Mohammad Ali)-এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেন। মামলার পূর্বে, তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন যে, তার মেয়েকে মাদরাসার প্রিন্সিপাল দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে দ্রুত পদচ্যুত করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।” তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান যেন মামলাটি ধামাচাপা না পড়ে এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh Jamaat-e-Islami) নেতাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তারা বলছেন, সরকারের ইঙ্গিতে জামায়াত নেতাদের সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। যদিও দলীয় পর্যায়ে এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অভিযোগটি রাজনৈতিক হোক বা বাস্তব, এ ধরনের ঘটনা সমাজে গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তি চায়—যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।

বার্তা বাজার / এস এইচ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *