ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিরোধী দল ও মতের মানুষদের গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)। এই মামলাগুলোয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)-কে প্রধান আসামি করে মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত বিষয় হচ্ছে, ডিজিএফআইয়ের (DGFI) সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকের বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ অভিযোগ আমলে নেন এবং একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী দল ও ভিন্নমতের লোকদের গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টারে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতন চালানো হয়েছিল—যা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতায় থাকা ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক হলেন—লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল হামিদুল হক। এছাড়াও মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছেন শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী।

ট্রাইব্যুনালের অভিযোগ অনুযায়ী, এসব অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে গুম ও নির্যাতনের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আদালত মামলার পরবর্তী তারিখে তদন্ত অগ্রগতি ও গ্রেপ্তারের অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *