অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড নিজের কাছে থাকার দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের (Syed Abdullah Muhammad Taher)। তার এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উঠেছে গণমাধ্যমের টকশোতেও।
একটি টকশোতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান (Zahed Ur Rahman) সরাসরি প্রশ্ন তোলেন—“উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড জামায়াত নেতা কিভাবে পেলেন?”। তিনি বলেন, “কয়েকজন উপদেষ্টার ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম (Nahid Islam) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও আসন্ন নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে গভীরভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু নাহিদ ইসলাম কোথাও দাবি করেননি যে তার কাছে কারও কল রেকর্ড আছে। তিনি শুধু উপদেষ্টা হিসেবে নিজের অবস্থান থেকে কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা বেআইনি নয়।”
জাহেদ উর রহমান আরও বলেন, “নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের সঙ্গে জামায়াত নেতার বক্তব্যের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যদি সত্যিই ডা. তাহেরের কাছে কোনো কল রেকর্ড না থাকে, আর তিনি কেবল রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে এমন দাবি করে থাকেন—তাহলে সেটা এক ভয়ংকর প্রবণতা। এটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক সমালোচনা নয়, বরং মিথ্যা তথ্য প্রচার যা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।”
তার মতে, “আর যদি সত্যিই ডা. তাহেরের কাছে কল রেকর্ড থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই—উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত কল রেকর্ড তার হাতে এল কীভাবে? কল রেকর্ড কোনোভাবেই জামায়াত নেতার হাতে যাওয়ার কথা নয়। এটি গুরুতর আইনি ব্যত্যয়। সরকারের এখনই উচিত ডা. তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা, জানতে হবে তিনি কোথা থেকে এবং কীভাবে এই তথাকথিত রেকর্ড সংগ্রহ করেছেন। বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখলে তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।”
রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রে একটি প্রশ্নই ঘুরছে—ডা. তাহেরের হাতে সত্যিই কি কোনো উপদেষ্টার কল রেকর্ড আছে, নাকি এটি কেবল রাজনৈতিক নাটকের নতুন অধ্যায়?