বাড়িভাড়া বৃদ্ধি ও চিকিৎসা ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে অবস্থান করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। শুক্রবার দুপুর থেকে তারা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। এবার এই শিক্ষকরা নতুন কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষা ভবন অভিমুখে খালি থালা ও প্লেট হাতে নিয়ে ‘ভূখা মিছিল’-এর ডাক দিয়েছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এই কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (Mirza Fakhrul Islam Alamgir)-এর সঙ্গে বৈঠক নির্ধারণ হওয়ায় সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষক আন্দোলনের সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা গেছে, বৈঠকটি দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে, আর ‘ভূখা মিছিল’ বিকেল ৩টায় শুরু হবে।
চলমান আন্দোলন, শিক্ষকদের দাবি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী (Principal Delwar Hossain Azizi)।
আজিজী বলেন, “আজ দুপুর ১২টায় বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য ‘ভূখা মিছিল’ বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি আরও জানান, শহীদ মিনার থেকে থালা-বাটি হাতে শিক্ষা ভবনের দিকে মিছিল যাবে শিক্ষকরা।
চলমান শিক্ষক-কর্মচারী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে আজিজী আরও বলেন, “আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘ভূখা মিছিল’ বের হবে। ইতোমধ্যেই শতাধিক শিক্ষক আমরণ অনশন পালন করছেন, বাকিরা অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন।”
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “২০ শতাংশ বাড়িভাড়া মানে ২০ শতাংশই; ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা মানে ১৫০০ টাকাই। এখানে কমানোর কোনো সুযোগ নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ সারা দেশের শিক্ষকরা রাজপথ ছাড়বেন না। প্রয়োজনে আমরা রক্ত দেব, তবুও দাবি আদায় করে ছাড়ব।”
উল্লেখ্য, ‘ভূখা মিছিল’ হলো এমন এক প্রতিবাদ কর্মসূচি, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাস্তায় নেমে নিজেদের দাবি-দাওয়ার প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাধারণত এই ধরনের মিছিল আয়োজিত হয় খাদ্য সংকট, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুরবস্থা, ন্যায্য মজুরি না পাওয়া কিংবা সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রতিবাদে। অংশগ্রহণকারীরা প্রতীকীভাবে না খেয়ে নিজেদের প্রতিবাদ জানান।