জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যুতে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে শিগগিরই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan)। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “সরকার একটা সম্ভাব্য সমাধান মাথায় রেখেই সবার সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবে। সেটা খুব দ্রুতই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।”

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে যেসব ইস্যুতে এখনও সমঝোতা হয়নি, সেগুলোর জন্য দলগুলোকে একসঙ্গে বসে নিজেরা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাতদিন পার হয়ে গেলেও তারা কোনো সমাধানে পৌঁছায়নি। ফলে এখন সরকার নিজেই অভ্যন্তরীণ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

তার ভাষায়, “আমরা আগেই বলেছিলাম, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারে তবে সরকার অবস্থান নেবে। যেহেতু সাত দিন পার হয়ে গেছে, এখন সরকার বসবে।”

সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা সময় লাগতে পারে—এই প্রশ্নে সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত দিতে খুব বেশি সময় নেব না। আমরাও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।”

এ সময় উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, “কেউ তো বলেনি যে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। যদি কেউ এমন বলত, আর তারপরও সরকার সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে বলা যেত যে সরকার কিছু আরোপ করছে। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। সরকারের একটা দায়িত্ব আছে, সে দায়িত্ব পালনের জন্যই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।”

রাজনৈতিক দলগুলো যদি সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে না চায়, তাহলে কী হবে—এই প্রশ্নে কিছুটা বিরক্তির সুরে উপদেষ্টা বলেন, “‘যদি’ দিয়ে এখন প্রশ্ন করবেন না। সরকার সিদ্ধান্ত নিক আগে। কেউ তো বলেনি সরকারের সিদ্ধান্ত মানব না। তাহলে আপনি কেন ‘যদি’র কথা আনছেন?”

তিনি আরও বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনায় নিয়ে সরকার যেটা ভালো মনে করবে, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।”

সরকার যে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত মিলেছে উপদেষ্টার কথাতেই। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অনিশ্চয়তা ও জল্পনা চলছে, তা নিরসনে সরকারের অবস্থান এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *