পাওনা টাকার জেরে কৃষকের গোয়ালঘর থেকে গরু তুলে নিলেন জামায়াত নেতা

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে পাওনা টাকার অজুহাতে এক কৃষকের গোয়ালঘর থেকে দুইটি গরু জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়
জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami)-র এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামে ঘটে এই ঘটনা, যা মুহূর্তেই এলাকায় আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, দক্ষিণ মুরাদিয়ার কৃষক আব্দুল বারেক মজুমদার (Abdul Barek Mojumdar)-এর গোয়ালঘরে ঢুকে দুইটি গরু তুলে নিয়ে যান একই ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক
জলিল প্যাদা (Jalil Payada)। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বারেক মজুমদার অভিযোগ নিয়ে ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
হাফিজুর রহমান ফোরকান (Hafizur Rahman Forkan)-এর কাছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রেজাসহ কয়েকজন মিলে বৈঠকে বসলে অভিযুক্ত জলিল প্যাদা দাবি করেন, বারেকের ছেলে ঢাকায় থাকা আমিনুলের কাছে তার ভাইয়ের টাকা পাওনা রয়েছে। সেই টাকার বদলে গাভী দুটি নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন বলেও দাবি তোলেন।

অন্যদিকে কৃষক বারেক মজুমদারের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, “আমার ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে। কারও সঙ্গে তার টাকার লেনদেন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমাকে দুর্বল ভেবে ছেলের কাছে পাওনার অজুহাত দেখিয়ে আমার গরু নিয়ে গেছে।”

গরু তুলে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জলিল প্যাদা বৈঠকেই বলেন, “তার ছেলের কাছে টাকা পাই, তাই পাওনা আদায় করতেই গরু নিয়েছি।” তবে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকানের বক্তব্য, বৈঠকে জলিল প্যাদা টাকার দাবি তুললেও কোনো ধরনের কাগজপত্র বা প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।

বার্তা বাজার/এস এইচ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *