আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি (BNP) ও তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনার জন্য আগামীকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্য (Nagorik Oikya)-এর কার্যালয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে একাধিক শরিক দল।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, নেজামে ইসলাম পার্টি এবং গণফোরাম-এর শীর্ষ নেতারা। আরও কয়েকটি দলের প্রতিনিধিও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
একটি জোট ও তিনটি দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করতে রাজি হননি।
নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরালো হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন (AMM Nasir Uddin) সাংবাদিকদের জানান, “এই সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
এরই মধ্যে বিএনপি প্রথম দফায় গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে এবং দ্বিতীয় দফায় ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। বাকি ২৮টি আসনের বিষয়ে বিএনপি জানিয়েছে, এসব আসনে শরিকদের প্রার্থিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মিত্রজোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন, তারা বিএনপির চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থী তালিকা জমা দিলেও, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই বিএনপি এককভাবে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতে তারা হতবাক, কেউ কেউ প্রকাশ্যে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে দুই দফায় ঘোষিত তালিকায় অন্তত ছয়টি আসনে ‘অনিবন্ধিত’ শরিক দলের নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন, কিন্তু সে বিবেচনা না করায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, দলটি শরিকদের মূল্যায়ন করতে চায় এবং কোনো রকম দ্বন্দ্ব তৈরি হোক, তা বিএনপি চায় না। ঐক্য ধরে রেখে এই সমস্যার সমাধান চায় দলটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক কেবল আসন ভাগাভাগির বিষয়েই নয়, ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। শরিকদের একাংশ চাইছেন, তাদের মতামত ও ভূমিকা আরও দৃশ্যমান হোক।


