রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন (Md. Sahabuddin) বলেছেন, মহান মু’\ক্তিযু’\দ্ধের লক্ষ্য কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাও ছিল এই ঐতিহাসিক সংগ্রামের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, দীর্ঘ পাঁচ দশকের পথচলা পেরিয়েও জনগণের পূর্ণ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক মুক্তি এখনও অর্জিত হয়নি।
এই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অ’\ভ্যু’\ত্থান একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তিনি মনে করেন, এই গণআন্দোলন একটি ন্যায়সংগত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস—এই দিনটি আমাদের জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত সাফল্যের স্মারক। বিজয়ের এই আনন্দঘন দিনে আমি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে জানাই বিজয়ের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা ও অবিরাম সংগ্রামের ইতিহাস। দীর্ঘ নয় মাসের র’\ক্তক্ষ’\য়ী মু’\ক্তিযু’\দ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।’
বিজয়ের এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন মু’\ক্তিযু’\দ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব বীর শ’\হি’\দ, যু’\দ্ধা’\হত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রমহারা মা-বোন, শ’\হি’\দ পরিবারের সদস্য এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে অবদান রাখা সব সংগ্রামী যোদ্ধাকে। তিনি বলেন, তাঁদের অসামান্য ত্যাগ ও আত্মদানের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল যদি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হয়, তবে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি স্তরে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি।’
তিনি সবাইকে মহান মু’\ক্তিযু’\দ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির ভাষায়, ‘মহান বিজয় দিবসে এটাই হোক আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার।’


