আগামী জাতীয় নির্বাচন ঠিক কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও থেমে নেই নর্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। বর্তমানে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রধান দুই রাজনৈতিক দল হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। আর সেই সাথে সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে নতুন এক পার্টি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছে। তাদেরকে নিয়েও রাজনীতির মাঠে আছে আগ্রহ।
সম্প্রতি “ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ” নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেশ জুড়ে চালিয়েছে এক জরিপ আর তাতেই উঠে এসেছে বিভাগ ওয়ারী দলগুলির অবস্থান।
এই মুহূর্তে ঢাকা বিভাগে বিএনপি ৪৪.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৫.৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৮.৫ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৫.৪ শতাংশ এগিয়ে।
চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপি ৪৭.৮ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১১.১ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৭.৪ শতাংশ এগিয়ে।
সিলেট বিভাগে বিএনপি ৫১ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৬ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৪.৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ২.৬ শতাংশ এগিয়ে।
খুলনা বিভাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪৬.৩ শতাংশ, বিএনপি ৩৮.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৩ শতাংশ এগিয়ে।
রাজশাহী বিভাগে বিএনপি ৪২.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩৫.৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১২.৯ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.৬ শতাংশ এগিয়ে।
রংপুর বিভাগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪৪.৯ শতাংশ, বিএনপি ২১.৭ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৯.২ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৩.৮ এগিয়ে।
বরিশাল বিভাগে বিএনপি ৩৯.৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২২.৯ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ২৪.৬ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.২ শতাংশ এগিয়ে।
ময়মনসিংহ বিভাগে বিএনপি ৪৪.৬ শতাংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৮.৩ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ১৮.৩ শতাংশ, ছাত্র সমর্থিত পার্টি ৬.৪ শতাংশ এগিয়ে।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশের ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার ১০ হাজার ৬৯৬ জনের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়।