ভারতের ‘র’-এর প্রেসক্রিপশন দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি সম্ভব নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার ইশারায় রাজনীতি পরিচালনার চেষ্টার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ (Hasnat Abdullah)। ভারতের বহুল আলোচিত গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ বা Research and Analysis Wing-এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, “র’-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এক ফেসবুক পোস্টে এ মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে সরাসরি ‘র’-এর মতো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশি রাজনীতিতে স্বাধীন চেতনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

তিনি বলেন, “পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছে এ দেশের তরুণ ও ছাত্রসমাজ। তারা দেখিয়ে দিয়েছে, দেশি শক্তি চাইলে কিছুই অসম্ভব নয়। সেই তরুণদের মতো কোনো দল র’-এর প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে আর এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না।”

তবে, ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এমন পোস্ট দিয়েছেন বা সাম্প্রতিক কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষাপট রয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে এই বক্তব্য ঘিরে।

উল্লেখ্য, ‘র’ বা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং, ভারতের বহির্বিশ্বে গোয়েন্দা নজরদারি ও কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য পরিচিত সংস্থা। এটি ১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এই সংস্থার নানাবিধ প্রভাব নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও, বাংলাদেশে সরাসরি এমন মন্তব্য বিরল।

হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টের নিচে এনসিপি গ্রুপের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করে বলা হয়, “ড. ইউনূস কে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখুন। ৫৩ বছর পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ১০০ বছর এগিয়ে যাবে।” আরও যোগ করা হয়, “হাসনাত আবদুল্লাহ—যার হৃদয়ের সবটুকুতেই রয়েছে দেশপ্রেম। যাকে ভয় দেখিয়ে কিংবা লোভ দেখিয়ে কেনা যায় না। হাসানাতদের জন্ম হোক প্রতিটি ঘরে ঘরে।”

উল্লেখ্য এর আগে সেনাবাহিনী নিয়ে বক্তব্যে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন হাসানাত। এরপর বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও সম্প্রতি “আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না” এমন এক পোস্ট দিয়ে আবার আলোচনায় উঠে আসেন। তার সেই “শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ” এর পোস্টার ঠিক পরের দিনই ‘র’ নিয়ে এই পোস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিদেশি সংস্থার ভূমিকা এবং জাতীয়তাবাদী মনোভাব নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *