জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেসকল বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি (BNP)। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের ঐক্যমতের বিষয়গুলো জাতির সামনে উপস্থাপন না করাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) (NDM) এর লিয়াঁজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ দাবি জানান।
সংস্কারের ওপর ঐকমত্যের সুপারিশ গোপন কেন?
এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘এখন নতুন কোনো ঐক্যমতের দরকার নেই। দরকার সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে যেসকল প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলো জমা দিয়েছে এবং যেগুলোতে সবার ঐকমত্য হয়েছে—তা প্রকাশ করা জরুরি। কেন কমিশন সেটি প্রকাশ করছে না, এটাই প্রশ্ন। বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদি কোনো কাজ নয়। এ বিষয়ে জাতিকে জানিয়ে একটি সনদে স্বাক্ষর করে নির্বাচনের পথেই অগ্রসর হওয়া উচিত।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিএনপি সংস্কার চায় না—এমন একটি গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমির খসরুর ভাষায়, ‘এগুলো শুধুই গুজব ও বিভ্রান্তি। বরং আমাদের দায়িত্ব হওয়া উচিত—যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা।’
৩০ দিনের মধ্যে ঐকমত্যের সনদ তৈরির দাবি
বৈঠক শেষে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘সকল দলের সম্মতিতে একটি ঐকমত্যের সনদ ৩০ দিনের মধ্যেই তৈরি করা সম্ভব। একবার সনদ চূড়ান্ত হলে আর কোনো বিলম্ব না করে নির্বাচন আয়োজন করাই হবে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।’
দিনের শেষে একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এনডিএমের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ববি হাজ্জাজ, আর বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লিয়াঁজো কমিটির প্রধান আমির খসরু ও ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। একইসঙ্গে গণফোরাম (Gono Forum)-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী-এর নেতৃত্বে আরও একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।