সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী (Mostofa Sarwar Farooki)–র এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ প্রসঙ্গে করা একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে দেশের অন্তত তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলে চাঞ্চল্যকর রদবদল ঘটেছে। দীপ্ত টিভি ও এটিএন বাংলা থেকে তিনজন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, যার মধ্যে দুইজন দীপ্ত টিভির ও একজন এটিএন বাংলার। এদিকে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষও তাদের এক রিপোর্টারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন দীপ্ত টেলিভিশনের মিজানুর রহমান ও মাহমুদ শাওন এবং এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বি। আর চ্যানেল আই তাদের এক সাংবাদিককে তদন্তের আওতায় এনে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের ‘অপেশাদার আচরণে’ তারা তদন্ত শুরু করেছে এবং রিপোর্টারকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবে এই ঘটনার পেছনে সরকার কোনো ভূমিকা রাখেনি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষে কথা বলার মতো প্রশ্ন করায় দীপ্ত টিভি নিজেরাই সংবাদ প্রচার বন্ধ করেছে। সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে ফোনও দেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর এই ছয় মাসে কোনো গণমাধ্যমে ফোন করিনি। কিন্তু এখন যদি কেউ চাকরি হারায় বা চ্যানেলের সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ হয়, মানুষ ভাববে সরকার করেছে।”
দীপ্ত টিভির পক্ষ থেকে সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে newsroom ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও তাদের নিজস্ব খবর আপডেট বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে সাংবাদিক এবং মিডিয়া কর্মীদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।