ঢাকা মহানগর (Dhaka Metropolitan) জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত থেকে শেখ পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে থাকা ঢাকার গুলশান, খুলনা ও গোপালগঞ্জের একাধিক জমি ও বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ এসেছে। একইসঙ্গে এসব সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আদালত একজন রিসিভার নিয়োগের আদেশও দিয়েছেন। এই নির্দেশ আসে দুদক (Anti-Corruption Commission – ACC)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, গুলশানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা একটি বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে, যার আনুমানিক অনুসন্ধানী মূল্য ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এছাড়া, খুলনায় শেখ রেহানা সিদ্দিক, সায়মা ওয়াজেদ এবং শেখ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে থাকা ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, সেটিও ক্রোকের আওতায় এসেছে।
শেখ রেহানা (Sheikh Rehana)-র নামে গোপালগঞ্জে ১৯ শতক জমি রয়েছে, যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একইভাবে শেখ রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে খুলনায় থাকা ৮৭ শতক জমিও ক্রোক করা হয়েছে, যার মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৪১ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে দেখা যায় সায়মা ওয়াজেদ তার মালিকানাধীন স্থাবর সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং মামলার স্বার্থে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এসব সম্পত্তি হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা জরুরি হয়ে পড়ে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত সব সম্পত্তি ক্রোকের পাশাপাশি একজন রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন, যিনি সম্পত্তিগুলোর তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। আদালতের এই পদক্ষেপ মূলত দুর্নীতির অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তে বাধাহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতেই নেয়া হয়েছে।