ড. ইউনূসের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনলাইনে গুঞ্জণ

গতকাল সারাদিন দরবার হলে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বক্তব্য ঘিরে চলেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা কল্পনা, আর এর পরের দিনই আন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উত্তেজনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক একটিভিষ্ট খোমেনে এহসান (Khomene Ehsan)।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ড. ইউনূসকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ করা হলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। তার ছাত্র ও ঘনিষ্ঠজনেরা চেষ্টা করেও তাকে সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ রাত পর্যন্ত কৌশল নেওয়া সম্ভব হলেও, খোমেনে এহসান স্পষ্ট ভাষায় বলেন—”এই অকৃতজ্ঞ জাতির জন্য আর কিছু করার ইচ্ছা নাই।”

তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত নয় মাসে তাদের দল ও নেতৃত্বকে “অপমানিত, অপদস্থ ও নিগৃহীত” হতে হয়েছে। এহসান ক্ষোভের সঙ্গে লেখেন, “জুলাই বিপ্লবে আমাদের অবদান স্বীকৃতি পায়নি, বরং অপমানিত হয়েছি।”

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সরাসরি ড. ইউনূসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ড. ইউনূস আপনি অকৃতজ্ঞতার শাস্তি পেলে এটিই ন্যাচারাল পানিশমেন্ট।”

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ড. ইউনূসকে আনার প্রস্তাব তারই ছিল এবং এই নেতৃত্বে অনেক দূর যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ড. ইউনূসের কৃতজ্ঞতাহীন মনোভাবই আজ তার পতনের পথে নিয়ে গেছে।

এই বক্তব্যে রাজনৈতিক আভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ড. ইউনূস সত্যিই পদত্যাগ করছেন কি না—তা এখনো সরকারি সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের শক্তিশালী ভাষার পোস্ট সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *