রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ (Appellate Division)। রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করে এ নির্দেশনা দেয়।
এই রায়ের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান (Shafiqur Rahman)। সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন,
“আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া ন্যায়ভ্রষ্ট রায় আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ বাতিল ঘোষণা করেছে।”
তিনি আরও লেখেন, “মহান রবের দরবারে নতশিরে শুকরিয়া আদায় করি—আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।”
জামায়াত আমির তার প্রতিক্রিয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “পরবর্তী প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মহান রবের সাহায্য চাই—আমরা যেন দ্রুতই আমাদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাই। আমিন।”
রায় অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) কে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৯ সালে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন। সেই রিটের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর (Jamaat-e-Islami) নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে। পাঁচ বছর পর এ রায়ের পরিবর্তনে জামায়াতের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আবার আলোচনায় এসেছে।