বিএনপির (BNP) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান (Tarique Rahman) দেশে ফিরলে রাজনীতিতে এক ‘ভয়ংকর মাত্রা’ যুক্ত হবে—এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
শনিবার (১৪ জুন) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে আলোচনার সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান যেদিন দেশের মাটিতে পা রাখবেন, সেদিন সারাদেশে তার পক্ষে এবং বিএনপির পক্ষে একটি গণজোয়ার বয়ে যাবে। এই জোয়ার এতটাই প্রবল হবে যে, তাতে ছুটকা-ফুটকা সব রাজনৈতিক শক্তি ভেসে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা ও নাগরিক অসন্তোষ বিরাজ করছে, তা একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছে। এই নেতৃত্বের অনুপস্থিতি পূরণ করতে পারেন একমাত্র তারেক রহমান।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাসজীবনের পর দেশে ফেরা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আনতে পারে। বিশেষ করে তৃণমূল ও তরুণ কর্মীদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা দলকে সংগঠিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
মাসুদ কামাল বলেন, “তারেক রহমান কেবল বিএনপির নেতা নন, বরং দেশের রাজনীতিতে একটি ‘পোলারাইজিং ফিগার’। তার ফেরা মানেই রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় রকমের পরিবর্তন।”
এদিকে, সাম্প্রতিক লন্ডন বৈঠক ও সরকার-বিএনপি সমঝোতার ইঙ্গিতপূর্ণ ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে জোরালো গুঞ্জন—তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
বেশ কিছু রাজনৈতিক সূত্র বলছে, চলমান সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতার অংশ হিসেবেই তার প্রত্যাবর্তনকে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও সরকারপক্ষ বা বিএনপির তরফ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পরিস্থিতি দিন দিন সেই দিকেই এগোচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক মঞ্চে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন কেবল একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়—বরং এটি হতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী মোড়।
