জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan Kamal)-এর পক্ষে রাষ্ট্রের খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ট্রাইব্যুনাল এই শুনানির দিন ঠিক করে। একই দিনে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে চলা গণআন্দোলনের সময় আশুলিয়ার একটি ঘটনায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার নৃশংসতার সঙ্গে মোট ১৬ জন ব্যক্তি জড়িত ছিলেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে।
এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিলের জন্য ২ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা জানায়, আশুলিয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে সাতজন। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে তাদের মধ্যে অন্যতম পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ হিল কাফি ও শাহিদুল ইসলামসহ সাতজনকে হাজির করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলার শেকড় রাজনৈতিক পরিবেশের টালমাটাল এক সময়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেহেতু মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের সাবেক দুই নেতাও রয়েছেন, তাই বিচারকাজ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ই বিবেচ্য নয়।
এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত তখনই করা হয়, যখন আসামিপক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকে বা তারা এই সুযোগ গ্রহণে অক্ষম। মামলার পরবর্তী শুনানি এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঘিরে এখন আইনজীবী মহলে তৎপরতা বেড়েছে।