বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) (Bangladesh Nationalist Party – BNP) দলীয় অনুমোদন ছাড়াই নাম-বেনামে সংগঠন গঠন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (Ruhul Kabir Rizvi) স্বাক্ষরিত এক সতর্কীকরণ নোটিশে এসব কথা জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, অনুমোদনহীন ও অস্বীকৃত সংগঠন গঠনের মাধ্যমে বিএনপির নাম ও ভাবমূর্তি ব্যবহার করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, “বিএনপি ও তৎঅধীন অনুমোদিত ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠনকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সুতরাং এসব নামসর্বস্ব ও ভূঁইফোঁড় সংগঠন অবৈধ এবং এসবের সঙ্গে দল কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।”
কোন সংগঠনগুলো অনুমোদিত
নোটিশে পরিষ্কার করে বলা হয়, দলটির অনুমোদিত ১১টি সংগঠন হলো:
১. জাতীয়তাবাদী যুবদল
২. জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
৩. জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল
৪. জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল
৫. জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল
৬. জাতীয়তাবাদী কৃষক দল
৭. জাতীয়তাবাদী মহিলা দল
৮. জাতীয়তাবাদী ওলামা দল
৯. জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল
১০. জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল
১১. জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)
এগুলো ছাড়া অন্য যেকোনো সংগঠনকে ‘অবৈধ’ এবং ‘দলবিরোধী’ উল্লেখ করে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি এগুলোর বাইরে সংগঠন চালায়, তাহলে তা বিএনপির অনুমোদনবিহীন কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিয়া পরিবার ও দলের ভাবমূর্তির অপব্যবহার
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, জিয়া পরিবার এবং তারেক রহমান (Tarique Rahman)-এর নাম ও ছবি ব্যবহার করে নিজেদের ‘পদপদবি’ যুক্ত সংগঠনের নেতা দাবি করে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং জেলা পর্যায়ের নেতারাও বিষয়টি অবগত হয়েছেন।
এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং বলা হয়, “সংগঠনের নির্দেশনা অমান্য করে কেউ এসব করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা নেতাদের দায়িত্ব
এ ধরনের অস্বাভাবিক সংগঠন বা ব্যক্তির কর্মকাণ্ড কোথাও দেখা গেলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলার বিএনপিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সকল নেতাকর্মীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়।
নোটিশের শেষে আরও বলা হয়, “বিএনপি একটি সংগঠিত দল। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো সংগঠন পরিচালনার কোনো অধিকার কারও নেই। বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী এই অবৈধ উদ্যোগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”