সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি করে নির্বাচন আয়োজন করলে দেশে ফের গণঅভ্যুত্থানের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নুরুল হক নুর (Nurul Haque Nur)। রোববার (৬ জুলাই) ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য। এই ঐক্যের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করা সম্ভব।” তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই সেখানে অস্থিরতা চলছে, অথচ ৫০ বছরেও এর স্থায়ী সমাধান হয়নি। এর পেছনে রাজনৈতিক অনৈক্য এবং অদূরদর্শী নীতি দায়ী।”
সংলাপে নুর আরও বলেন, “সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশী সম্পর্ক এবং পররাষ্ট্রনীতি আমূল পাল্টে যায়। এটা একটা বড় দুর্বলতা। আমাদের ঠিক করতে হবে, কোন কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য এবং যেখানে তা অপরিবর্তনীয় থাকা উচিত।”
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরনো স্বৈরতান্ত্রিক ধারা ফিরে আসছে বলে মন্তব্য করে নুর বলেন, “পতিত স্বৈরাচার যেন আর কামব্যাক না করতে পারে, এ বিষয়ে সবাইকে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। নইলে তারা আবারও বিদেশি শক্তির ছত্রছায়ায় থেকে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করবে।”
তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “নির্বাচনের নামে যদি তড়িঘড়ি করে একটি কৃত্রিম প্রক্রিয়া চালু করা হয় এবং সংস্কারের কথা উপেক্ষা করা হয়, তাহলে জনগণ আর বসে থাকবে না। অতীতে যেমন গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা হতে পারে।”
নুরুল হক নুর এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সবার মাঝে সমন্বয় গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম সম্মিলিত বোঝাপড়া না থাকলে নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাবে।