সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন (Chowdhury Abdullah Al-Mamun) নিজেকে রাজসাক্ষী ঘোষণার পর নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারের একক সেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal) থেকে সরাসরি তাকে ওই বিশেষ সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে তিনি ট্রাইব্যুনালে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন। আবেদনে মামুন বলেন, “আমি জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় গভীর অপরাধবোধে ভুগছি। আমি সব সত্য প্রকাশ করতে চাই। সেই কারণেই সাক্ষী হতে চাই।”
তার এমন স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে হঠাৎ আলোড়ন তোলে। মামুনের আইনজীবী আদালতকে জানান, তিনি বর্তমানে অন্য সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে রয়েছেন, যা তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। সেই কারণে তাকে একক সেলে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার (Golam Mortuza Majumder)-এর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ চৌধুরী মামুনের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেন এবং তাকে কারাগারে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, মামুনকে বর্তমানে ‘হাই সিকিউরিটি’ জোনে রাখা হয়েছে, যেখানে অন্য কোনো বন্দি নেই। এতে করে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চৌধুরী মামুন এক সময় পুলিশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করলেও তার বিরুদ্ধে জুলাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। বহুদিন ধরে মামলাটি নিয়ে চাঞ্চল্য চলছিল, তবে রাজসাক্ষী হওয়ার মতো পদক্ষেপ মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে আইন বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মামুন যদি পূর্ণ সহযোগিতা করেন, তবে তদন্তে নতুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে, যা বিচারকার্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।