প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন (A M M Nasir Uddin) বলেছেন, “আমরা সবাই মিলে ইনশাআল্লাহ জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো।” বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সিইসি জানান, কমিশনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হবে। এ চ্যানেলে ভোটার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রার্থীদের করণীয়সহ বিভিন্ন নির্দেশনা ও ভোটারদের নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কিত বিষয় সহজভাবে উপস্থাপন করা হবে। তার ভাষায়, “আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জনগণকে সঠিক তথ্য জানাতে এবং গণতন্ত্র চর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে।”
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন নারী, যুব সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার কথা। তার মতে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণই গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করবে।
সিইসি বলেন, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জনগণের আস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এজন্য কমিশন নিজেদের সকল পরিকল্পনা ও কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করবে বলে জানান তিনি।
তবে নির্বাচনের পথে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অপব্যবহারের বিষয়টি সামনে এনেছেন নাসির উদ্দিন। তিনি সতর্ক করে বলেন, “মিথ্যা ভিডিও, বানোয়াট তথ্য ও অপতথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, যা একটি বড় হুমকি।” তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যেকোনো তথ্য বিশ্বাস বা শেয়ার করার আগে যাচাই করতে।
ইউটিউব চ্যানেলের উদ্দেশ্যে জনগণকে নিয়মিত অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, “আমাদের বার্তাগুলো দেখুন, সাবস্ক্রাইব করুন এবং সঠিক তথ্য সম্পর্কে সচেতন হোন।” তিনি অপতথ্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, আমরা সবাই মিলে অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করি এবং জনগণের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপনে ঐক্যবদ্ধ হই। প্রতিটি কণ্ঠস্বর, প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ—এটিকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
ভিডিও বার্তার শেষাংশে আবারও আশাবাদ ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, “সবাই একসঙ্গে কাজ করলে আমরা অবশ্যই জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব। আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।”