নোয়াখালীতে রাজনৈতিক উত্তাপ ফের বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্ক নিয়ে ফের তীব্র অভিযোগ তুললেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতারা। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ এক প্রতিবাদ সমাবেশে অভিযোগ করেন, “এনসিপি (NCP)”র কিছু তরুণ সদস্য সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসে এমনভাবে ঘোরাঘুরি করছেন যেন তারা প্রশাসনের অংশ। এমনকি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “সমন্বয়কের নামে এনসিপির বাচ্চা পোলাপাইন ডিসি-এসপির অফিসে পায়ের ওপর পা দিয়ে বসে থাকতে দেখি।”
তিনি বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সরকারি অফিসে হস্তক্ষেপ করিনি। কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন আপনারা। আজকের পর থেকে যদি দেখি কেউ দালালি করছে, সালিশে চাঁদাবাজি করছে, তাহলে আর প্রশাসনের হাতে তুলে দেবো না—নিজেরাই বিচার করবো।”
মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহরে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সমাবেশটি আয়োজন করা হয় তারেক রহমান (Tarique Rahman) ও বিএনপি (BNP) নিয়ে ‘অপপ্রচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য’ এর প্রতিবাদে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোহাম্মদ নোমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জহিরুল ইসলাম তারেক, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন, হাতিয়া উপজেলার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম আদনান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জিয়াউর রহমান রায়হানসহ স্থানীয় বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও যুবদলের বহু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তবে এনসিপিকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এসেছে স্থানীয় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতাদের পক্ষ থেকে। তারা বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।