গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পরিষদের (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ আটকা পড়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (Bangladesh Jamaat-e-Islami) আমির পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার (Golam Parwar)। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের ডিসি অফিসে আটকে পড়া এনসিপি নেতাদের নিরাপদে বের করে আনতে জামায়াতের আমির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন।
গোলাম পরওয়ার জানান, “আমাদের সম্মানিত আমির সাহেব গোপালগঞ্জের ঘটনায় অত্যন্ত মানবিক ও বিচক্ষণ ভূমিকা রেখেছেন। যখন এনসিপি নেতারা ডিসি অফিসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন, তখনই তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তার এই তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটে এবং আটকে পড়া নেতারা নিরাপদে সরে আসতে সক্ষম হন।”
গোলাম পরওয়ার বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু গোপালগঞ্জের মতো একটি স্থানে, ডিসি অফিসের ভেতরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আটকে পড়তে হয়—এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতার একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত।”
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির শুধু নিজের দলের নয়, দেশের স্বার্থে কাজ করছেন। “এই সময় তিনি যে মানবিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন, তা শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচারের নয়, বরং একটি রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার দায়িত্ববোধের পরিচায়ক।”
এদিকে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সভা ঘিরে উত্তেজনা এবং পুলিশি উপস্থিতি প্রসঙ্গে ভিন্নমতের মধ্যেই জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সরাসরি সম্পৃক্ততা নতুন করে রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতের সাম্প্রতিক ‘ইমেজ রিস্টোরেশন’ প্রচেষ্টার প্রেক্ষাপটে, দলটির এমন ভূমিকা কৌশলগত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জামায়াত আমিরের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।