মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন ছাত্রী এবং দুইজন অভিভাবক। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তাদের খোঁজ না মেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির স্কুল সেকশনের প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার (Khadija Akter)। তিনি জানান, নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে এবং আহত-নিহত-নিখোঁজদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (Milestone School and College)। আজ দিনভর এই কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পেছনে ছিল একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা, যা এখনো জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (Ministry of Health) আগেই জানিয়েছে, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ছয়টি অজ্ঞাত মৃতদেহ রয়েছে যেগুলোর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
মন্ত্রণালয় থেকে নিখোঁজদের পরিবারগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা মালিবাগের সিআইডি (CID) ভবনে গিয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। এসব নমুনা সংগ্রহের পর দ্রুত ডিএনএ ম্যাচিং (DNA Matching) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে পরিবারের অপেক্ষা এবং আতঙ্কের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের দিকেই চেয়ে রয়েছে সবাই। তদন্ত এবং পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়ায় যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হলেও, নিখোঁজদের বিষয়ে কোনো নিশ্চিত খবর না পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিখোঁজদের দ্রুত সন্ধানই এখন সবচেয়ে বড় চাওয়া।