২৬ পয়েন্টে থাকছে হাসিনার গুম-খুন-অপশাসন, রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে অভ্যুত্থান

রাজনীতিতে চলছে জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের আলোচনা। ইতোমধ্যেই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ৫ আগস্ট বিকেলে এই পত্র ঘোষণা করা হবে। এদিকে কেমন হবে জুলাইয়ের এই ঘোষণা— সেই দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দাবি তুলে ধরেছেন অনেক রাজনীতিক। পাশাপাশি রূপরেখাও দিয়েছেন কেউ কেউ।

কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোট ২৬টি পয়েন্টে তৈরি হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া; যা শুরু হয়েছে ১৯৪৭ পরবর্তী এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ ২৩ বছরের বঞ্চনা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে। এরপরই তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ঘোষণা প্রণয়নের মোট ১৯টি কারণ; যেখানে ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়ায় এ-ও উল্লেখ, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ; হরণ করেছে মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা; যার ফলে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব হয়েছে।

সূত্রের তথ্য, ১/১১’র মাধ্যমে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা; ১৬ বছর ধর ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা; দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ; একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ঘোষণার খসড়ায়।

সূত্রের তথ্য, ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও ফ্যাসিবাদি শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধের লক্ষ্যে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে চায়। পাশাপাশি দীর্ঘ ১৬ বছর এবং ২০২৪-এর জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরণের নির্যাতনের বিচারও চায় বাংলাদেশের মানুষ।

সবশেষ ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করার কথা জানানো হয় ঘোষণাপত্রে খসড়ায়। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং তফসিলেও এ ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয় এতে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *