কুমিল্লার তিতাসে স্ত্রীকে নিয়ে পরকীয়ার জেরে নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া নামে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করে তিন টুকরো করে খালে ফেলে দেন স্থানীয় এক দম্পতি। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে আটককৃত স্বামী-স্ত্রীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মজিদপুর এলাকার খাল থেকে ডুবুরি দল একটি ব্যাগের ভেতরে ইটসহ দুটি মানব হাত উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নজরুল সাহাবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। বিবাহিত নজরুলের দুই সন্তান রয়েছে। আটক দম্পতি হলেন মজিদপুর গ্রামের সিএনজি চালক হোসেন মিয়া (৩২) এবং তার ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৫)। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক্টর চালক নজরুলের সঙ্গে হোসেন মিয়ার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারের দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। নজরুল প্রায়ই কড়িকান্দি বাজারসংলগ্ন হোসেনের ভাড়া বাসায় যেতেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির মালিক তাদের ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান, ফলে ৩১ জুলাই তারা নিজ গ্রাম মজিদপুরে ফিরে আসেন। এরপর ৬ আগস্ট রাতে হঠাৎ নিখোঁজ হন নজরুল। দু’দিন পর তার বাবা তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ্ জানান, নিখোঁজের জিডির পর নজরুলের দুটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। এর মধ্যে একটি ফোন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি বাস কাউন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়, যা এক যাত্রী ফেলে গেলে হেলপার জমা রাখে। মোবাইলের কললিস্ট বিশ্লেষণ করে প্রথমে হোসেন মিয়া এবং পরে তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন, নজরুলকে হত্যা করে তিন টুকরো করে খালে ফেলে দেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুটি হাত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।