ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন সংগঠনের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ উল্লাহ। একইসঙ্গে পদত্যাগকারী অন্য তিনজনও নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
হামলার শিকার মোহাম্মদ উল্লাহ অভিযোগ করেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খুররম খান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন তরুণ তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। তিনি হামলাকারীদের কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলেও দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘটনাই এই আক্রমণের মূল কারণ। হামলার সময় তিনি ওই কলেজে এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।
ঘটনার পরপরই তিনি নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও সারমিনা সাত্তার)-কে ফোনে বিষয়টি জানান। মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করবেন।
এদিকে পদত্যাগকারী আরেক নেতা শেখ সাদী অভিযোগ করেছেন, তাকেও হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে তাকে জানানো হচ্ছে “ডিম থেরাপি” দেওয়া হবে। এসব হুমকির কারণে তিনি এবং অন্য পদত্যাগী দুই সদস্য ভয় ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
গত ২৫ আগস্ট এনসিপির নীতি-আদর্শ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মোহাম্মদ উল্লাহসহ চারজন স্থানীয় নেতা দলটি থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আশেক আলী মণ্ডল, কাওসার আহমেদ জিসান এবং শেখ সাদী। তবে এনসিপির নান্দাইল শাখার প্রধান সমন্বয়ক মো. ফাইজুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি এখনো কোনো পদত্যাগপত্র হাতে পাননি—শুধু ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছেন।
মোহাম্মদ উল্লাহর ওপর হামলার খবর সম্পর্কেও তিনি কোনো তথ্য জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন।