দলের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, তাদের নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই। তা সত্ত্বেও এনসিপি তাদের দাবিতে অনড় থেকে শাপলার বেশ কয়েকটি নতুন নমুনা জমা দিয়েছে ইসিতে।
এনসিপির এই প্রতীক দাবিকে ঘিরে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে, তখন একই প্রতীক দাবি করেছে আরেক রাজনৈতিক দল—নিবন্ধিত বাংলাদেশ কংগ্রেস। বর্তমানে ‘ডাব’ প্রতীকধারী এ দলটি সোমবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে নতুন করে আবেদন করেছে শাপলাকে তাদের প্রতীক হিসেবে অনুমোদনের জন্য। আবেদনটি ইসিতে জমা দেন দলের দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমান, আর স্বাক্ষর করেন দলটির মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ কংগ্রেস জানিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা নিজেদের রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে শাপলাকে ব্যবহার করে আসছে। দলের প্রথম প্রচারপত্র থেকে শুরু করে ব্যানার, পোস্টার, লোগো—সব জায়গাতেই ছিল শাপলার প্রতীক। কিন্তু ২০১৭ সালে নিবন্ধনের সময় ইসি জানায়, শাপলা যেহেতু জাতীয় প্রতীক, তাই এটি দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
কমিশনের সেই নির্দেশনা মেনে কংগ্রেস ‘বই’ প্রতীক প্রস্তাব করে আবেদন জমা দেয়। তবে তাদের দলীয় লোগো ও প্রচারণায় শাপলার ব্যবহার অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় দলটির নিবন্ধন অনুমোদন পেলে তারা ‘বই’ প্রতীক দাবি করে, কিন্তু গেজেটভুক্ত না থাকায় শেষ পর্যন্ত তাদের ‘ডাব’ প্রতীক নিতে হয়।
অন্যদিকে, গতকাল রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা নেই। তাই এনসিপিকে প্রতীকটি দেওয়া সম্ভব নয়। এখন পর্যন্ত কোনো দলকে তালিকার বাইরে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”
তবুও ‘শাপলা’ প্রতীকের দাবিতে অনড় রয়েছে এনসিপি। দলটি সম্প্রতি ইসিকে নতুন করে চিঠি দিয়েছে। এবার জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে বিভ্রান্তি এড়াতে তারা শাপলার কয়েকটি ভিন্ন ডিজাইনের নমুনা যুক্ত করেছে।
গত ৭ অক্টোবর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি ইসি সচিবের কাছে পাঠানো হয়।