জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করা হলে “আম-ছালা দুটোই যাবে” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তাহের বলেন, “গণভোট নিয়ে এখন দুটি মত চলছে। কেউ কেউ সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একসঙ্গে করার পক্ষে। কিন্তু আমরা বলেছি, যেহেতু বিষয় দুটি আলাদা, তাই আলাদাভাবে আয়োজন করা উচিত। এজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছি।”
তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, “যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে সবাই জাতীয় নির্বাচনে জেতার দিকেই মনোযোগ দেবে। ফলে গণভোটের বিষয়টি গুরুত্ব হারাবে। তাছাড়া কোথাও যদি ভোট দখলের ঘটনা ঘটে, তাহলে গণভোটও সেই প্রভাবের বাইরে থাকবে না। এজন্য আমরা বলেছি আলাদাভাবে করার প্রস্তুতি নেওয়া হোক।”
সৈয়দ তাহের আরও জানান, নির্বাচন কমিশন বলেছে—সরকার যেটা সিদ্ধান্ত দেবে, তারা সেটাই বাস্তবায়ন করবে। খরচের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “এটা খুবই সিম্পল বিষয়। বড় ধরনের বাড়তি ব্যয় হবে না। ব্যালট বাক্স তো একই থাকবে। শুধু ব্যালট পেপার, খাওয়া-দাওয়া বা কিছু প্রশাসনিক খরচ যোগ হবে মাত্র। কিন্তু যদি একসঙ্গে সব ভোট করার যুক্তি তোলা হয়, তাহলে স্থানীয় ভোটও একই সঙ্গে করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একসঙ্গে হলে ভোট কম পড়ার আশঙ্কা আছে। কারণ সবাই নিজেদের দলের প্রার্থীর প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। ফলে গণভোটের বিষয়টি গৌণ হয়ে যাবে। মানুষ তখন দ্বিতীয়বার ভোট দিতে আগ্রহ হারাবে। বরং আলাদাভাবে হলে ভোটাররা মনোযোগ দিয়ে ভোট দেবে, আর যদি কোনো ঝামেলা হয়, আমরা সেটিও আগে থেকে বুঝতে পারব।”
শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হলে এবং সেখানে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে। আমরা তাই নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি।”