প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে সরকারের মধ্য থেকে দলীয় লোকদের অপসারণের দাবি করেছে বিএনপি।
একই সাথে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নেয়ার কথা বলেছে দলটি।
“বিএনপির পক্ষ থেকে আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে তাকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে,” বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
“সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এটি বলেছি। সরকারের মধ্যে দলীয় লোক থাকলে তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে এসেছি,” বলেছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রথমেই দরকার হবে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ- সেই ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে। সচিবালয়ে এখনো যারা আছেন চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট ,তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দিতে বলেছি”।
জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেখানে মনে করছেন যে যারা পুরনো ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের’ স্বার্থ পূরণ করছে তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
“পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ অবস্থার কথা বলেছি। উচ্চ আদালতেও এখনো যারা ফ্যাসিস্টদের দোসর আছে তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ বিচারক দেওয়ার কথা বলেছি,” বলছিলেন মি. আলমগীর।
এর আগে মি. আলমগীরের নেতৃত্বে তার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেন।