১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনানিবাসের সাবজেলে নেয়া হবে: ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন

আওয়ামী লীগ-এর শাসনামলে গুমের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুটি মামলা এবং গত বছরের জুলাই-আগস্টে রাজধানীর রামপুরায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এসব অফিসাররা আজকে আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে পদ্ধতিগত কারণে তাদের গ্রেপ্তার করার কথা বলা হয়েছে।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, সেনানিবাসে যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে তাদের নেয়া হবে বলে জানা গেছে। অনেক আসামি ইতিমধ্যে পলাতক হলেও, যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা কোনো অপরাধ করেননি—এই বিশ্বাস থেকেই তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন।

আইনজীবী আরও বলেন, “এইটা আত্মসমর্পণ। টেকনিক্যালি প্রসিকিউশন বলেছেন গ্রেপ্তার, কিন্তু আমরা বলি আত্মসমর্পণ। কারণ তারা আজ সকালে স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি। প্রশাসনিক সুবিধা এবং নিরাপত্তার কারণে তাদের একটি গাড়িতে আনা হয়েছে। তারা প্রকৃত অর্থে আত্মসমর্পণ করেছেন।”

ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন জানান, আদালত তাদের পক্ষকে ওকালতনামায় স্বাক্ষরের অনুমতি দিয়েছেন। এ সময় তিনি তিনটি আবেদন দাখিল করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে জামিনের আবেদন, ‘প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন’-এর অনুরোধ এবং সাবজেলে রাখার আবেদন।

তিনি বলেন, “সাবজেলের বিষয়টি এখন জেল কর্তৃপক্ষ দেখবে। আগামী শুনানির তারিখে পলাতক আসামিদের বিষয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২০ নভেম্বর। এখন যাদের আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে, তাদের সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে নেয়া হবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *