ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে নির্দেশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব প্রস্তুতি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম (Shafiqul Alam)। এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনসংক্রান্ত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যেখানে সভাপতিত্ব করেন ড. ইউনূস নিজেই।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম (Lt. Gen. (Retd.) Md. Jahangir Alam) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ হলেও, নির্বাচনী তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে।

নির্বাচনকালীন পদায়ন শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। এজন্য ৬৪ জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব বণ্টনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পদায়নে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, যেমন—কোনো কর্মকর্তাকে তার শ্বশুরবাড়ি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া হবে না। তাছাড়া, গত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট ও প্রিসাইডিং অফিসারদের এবারের নির্বাচনে যুক্ত করা হবে না।

প্রেস সচিব আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘এআই’ ব্যবহার করে অপপ্রচারের শঙ্কা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এমন যেকোনো প্রচার রোধে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি, মিথ্যা তথ্য (মিসইনফরমেশন) ও বিভ্রান্তিকর তথ্য (ডিসইনফরমেশন) প্রতিরোধে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার কথাও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্য তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, “এই নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। ভেতরে ও বাইরে থেকে অপশক্তি একত্রিত হয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। হঠাৎ করেই কোনো আক্রমণ আসতে পারে। কিন্তু যত ঝড়-ঝাপটা আসুক না কেন, আমাদের তা অতিক্রম করতে হবে।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে কোনো মূল্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *